Posts

Image
। দৃশ্যগুলো ।। সুমন পাটা র ী 1 মা ভেজা ঘাস শুকোতে দিচ্ছে ওনার আঁচল চুঁয়ে নামছে আমার দাম্পত্য স্বপ্ন। 2 খাটে শুয়ে আছে অসুস্থ বাবা, কাশির সাথে রক্তপাত সামান্য কমেছে। ওনার চোখে আমার জন্য করুণা ছাড়া আর কিচ্ছু নেই। 3 পিশি, জন্মপঙ্গু, বসে আছে চৌকাঠে, ভাবছে ভাতার টাকা ঢুকলে ওনি প্রথমবার পুরো মুখ খুলে একটি নিঃশ্বাস নেবেন 4 বোনেরা আসে, চলে যায়, অভিজাত আত্মীয়রা কবে থেকে একটি তাজা হাস উঠোনে বাঁধা দেখতে চাইছে। 5 আমি, সকালে বেরিয়ে যাই, মাঝেমধ্যে রাগ কমলে বাড়ি ফিরি অথবা কোনো বনে বসে বসে মার্কসিটের ফাইল খুলে উড়িয়ে দি চল্লিশের মন্বন্তর। হে পাঠক কেউ আমাকে করুণা করবেন না। ছবি অর্কপ্রভ দাস।
Image
শ্রুতিনাটকঃ আয়না অমিত বন্দ্যোপাধ্যায় [ দৃশ্য ১] [হাসপাতালের কোনো এক রুমের কোনো এক বেড-এ শুয়ে আছেন কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট-এ আক্রান্ত হওয়া নির্মলাদেবী, বয়স ওই ষাটের ওপার আর তার পাশে তার হাত ধরে বসে আছেন তার স্বামি অনুব্রতবাবু, বয়স সত্তর ছুঁই ছুঁই। এছাড়া সেই রুমে উপস্থিত নার্স নীলা] নির্মলাদেবী : তো...তোমার সকাল থেকে খাওয়া হয়েছে? অনুব্রতবাবু : উফ, আবার এসব নিয়ে পড়লে কেন! তুমি-তুমি বিশ্রাম নাও। এসব নিয়ে ভেবো না। নির্মলাদেবী : বিশ্রামই তো নিচ্ছি গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে... অনুব্রতবাবু : ঠিক আছে...আর একটু বিশ্রাম নাও...দেখবে- দেখবে- নির্মলাদেবী : কি? সেরে যাব? অনুব্রতবাবু : হ্যাঁ। নির্মলাদেবী : হা হা হা... অনুব্রতবাবু : যাঃ এতে হাসির কি হলো! নির্মলাদেবী : বা রে!...হাসবো না! তু-তুমি কি আমায়...বাচ্চা ভেবেছো? অনুব্রতবাবু : মানে! নির্মলাদেবী : আ-আ-আমি জানি... অনুব্রতবাবু : চুপ করে গেলে কেন?বল কি জানো? নির্মলাদেবী : আমি মরে যাব... অনুব্রতবাবু : খবরদার এইসব কথা বলবে না...এ দেশের নামকরা ডাক্তার দেবারতি সেন তোমায় দেখছেন...কি-কিচ্ছু হবে না তোমার। নির্
Image
শান্তনু মিত্র নিয়োগীর লেখা আমার ছাপোষা দুমুখো মধ্যবিত্ত জীবনকাল। আমি এক এলেমদার নবযুবক যে তত্ত্বগত ভাবে অসাধারণ আর যাপনে রক্ষণশীল। চারিত্রিক দৃঢ়তাব্যঞ্জক কুলকুচি আমি সকাল বিকেল মন্তব্যের বেসিনে ফেলি। আমি ন্যাংটো হয়ে ঘুমোতে যাই আর অন্তর্বাস পরে স্নান করি। আমি সপ্তাহে একবার শ্যাম্পু করি আর এগারোবার হাঁচি। আমি বুক ঢাকতে বলি না, ব্রা এর স্ট্র‍্যাপ ঢাকতে বলি। আমি যৌনতা ততটুকুই বুঝি যেটুকু বুঝলে যৌনতা পাওয়া যায়। আমার বিকৃত স্নায়ু আর বিক্রিত আয়ু। আমি ফরসা মেয়ের প্রেমে পড়ি, ভালোবাসি কালো মেয়েকে। কিন্তু আদপেও প্রেম আর ভালোবাসাকে আলাদা করে দেখিনা। আমি সকাল বিকেল দুমুঠো সৎ-সাহস নিলামে তুলি। আমি নিজেকে হিপোক্রিট বলে হিপোক্রিসি করলে আমি হিপোক্রিট কিনা, এই নিয়ে গবেষণা করিনা। কারণ আমি পায়ের ওপর পা তুলে জানালার হাওয়া খোলাবুকে মেখে মুখ থেকে গলগল ধূমকেতুর লেজ নিয়ে পরিতৃপ্ত। তবু শালা কুত্তার বাচ্চা সরকার এগারো হাজার কোটির ঝাল আমার পকেট থেকেই মেটাবে। আমি সর্দি মুছবো গেরুয়া রুমালে।                                                                                  ছবি -- অর্ক প্রভ দাস।